প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া উপায়ে বন্ধ্যাত্ব রোগ নিরাময় করুন

by Dr. Baby Akter
ঘরোয়া উপায়ে বন্ধ্যাত্ব নিরাময়

যে কোন স্বামী-স্ত্রী বা বিবাহিত দম্পতিই চায় তাদের জীবনে সন্তান আসুক। সন্তানের মাঝে দম্পতি এক নতুন জীবনের পূর্ণতা পায়। তাকে  ঘিরেই নিজেদের সমস্ত চাওয়া পাওয়া, স্বপ্ন সব কিছু আবর্তিত হয়। কিন্তু সেই স্বপ্ন, আশা সব মিছে হয়ে যায়, যদি তাদের জীবনে নতুন কোন জীবন না আসে। স্বামী-স্ত্রী অনেকটা হতাশ নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করেন। অনেক দম্পতি আছে যারা দীর্ঘদিন বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঘরে সন্তান আসেনি। তাদের জন্য এই পদ্ধতিটি হয়ে যেতে পারে হতাশা মুক্তির কারণ। তাই এবার ঘরোয়া উপায়ে বন্ধ্যাত্ব রোগ নিরাময়ের পদ্ধতিটি চেষ্টা করে দেখুন, ঘর আলোকিত করে আসতে পারে নতুন প্রাণ, দেখতে পারেন সন্তানের মুখ। 

অনেক দম্পতি আছেন যারা দীর্ঘদিন বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঘরে আসেনি সন্তান। তাই এবার প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চেষ্টা করে দেখুন, ঘর আলোকিত করে আসতে পারে নতুন প্রাণ, দেখতে পারেন সন্তানের মুখ।

বন্ধ্যাত্ব দূর করার প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া উপায়

সকালের খাবার

সুস্থ ডায়েট যদি চান অবশ্যই দিনের প্রথম খাবার ভালো হতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে যে সমস্ত মহিলারা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে ভরপুর ব্রেকফাস্ট অনেকটাই কাজ দেয়। তাই সকালের খাবার সবসময় চেষ্টা করুন বেশি করে খাওয়ার।  

খেজুর

খেজুরে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি এবং একাধিক খনিজসহ বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি যা গর্ভধারণকে সহায়তা করে। খেজুর এবং ধনিয়া শিকড়ের একটি পেস্ট তৈরি করে, এটি গরুর দুধের সাথে ফুটিয়ে নিন। এই শীতল মিশ্রণটি আপনার পিরিয়ডের পরে প্রতিদিন পান করুন। বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় ভালো ফল পাবেন। সকালে স্মুথির মাধ্যমে সাধারণভাবে খেজুর খাওয়াও খুব ভাল। 

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার

গর্ভধারণ করার ক্ষমতার জন্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার অধিক কার্যকরী। এই ধরণের খাবার শরীরের জনন গ্রন্থিগুলোতে আক্রমণকারী পদার্থগুলোকে ধ্বংস করে এবং তাদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। সেই সাথে পাশাপাশি স্পার্ম কাউন্ট বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যে কোনো ধরনের সবজি, ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘ই’ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এর জন্য ভালো।

মাল্টি ভিটামিন

শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়মিত মাল্টি ভিটামিন খেলে নারীদের বন্ধ্যাত্ব জনিত সমস্যা অনেক কম হয়। এর সাথে গ্রীন-টি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন বি-৬ সমৃদ্ধ খাওয়া দরকার।

শরীরচর্চা

বন্ধ্যাত্ব দূর করতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন এবং প্রচুর পরিমাণে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান। প্রয়োজনের অতিরিক্ত বসে থাকলে শরীরে অতিরিক্ত ক্ষতিকর অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে থাকে। প্রাকৃতিকভাবে আয়রনসমৃদ্ধ ফল বেশি করে খান। 

ট্রান্সফ্যাট

ট্রান্সফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার না খাওয়ার চেষ্টা করুন। এবং কম কার্বোহাইড্রেট খাওয়া শুরু করুন ডায়েটে। সাধারণত মার্জারিন, প্রসেসড ফুড এবং অন্যান্য খাবার যাতে ফ্যাট বেশি আছে এড়িয়ে যাওয়া দরকার। এতে শরীরে ইনসুলিনের লেভেল কমবে।

মাদকদ্রব্য গ্রহণ বর্জন করুন

মাদকদ্রব্য গ্রহণের অভ্যাস থাকলে অবশ্যই তা ক্ষতিকর। অতিরিক্ত অ্যালকোহল খাওয়া কমান। একইসাথে ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় খাওয়া বন্ধ করুন বা পরিমিত সেবন করুন। কারণ এইটি পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট কমায়। 

ডালিম

ডালিম মহিলাদের গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এই ফলটি সরাসরি জরায়ুর আস্তরণ ঘন এবং শক্তিশালী করে যা গর্ভপাত ঘটার সম্ভাবনা কমায়। তাজা ডালিম কয়েক সপ্তাহ ধরে সঠিক পরিমাণে কাঁচা বা রস আকারে খাওয়া উচিত। বন্ধ্যাত্ব দূর করার জন্য ডালিম কয়েক সপ্তাহ ধরে সঠিক পরিমাণে কাঁচা বা রস আকারে খাওয়া খেতে হবে। 

সৈন্ধব লবণ

সৈন্ধব লবণ বাজারে সহজেই পাওয়া যায় এবং এতে প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সৈন্ধব লবণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে এবং ভোর বেলা সেই পানি পান করার অভ্যাস করুন। এভাবে ৫-৬ মাস পর্যন্ত খেলে মহিলাদের মাসিক চক্রকে স্বাভাবিক করতে সহায়তা করে, এতে স্বাস্থ্যবান জরায়ু তৈরি হয় এবং গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। 

ফলিক এসিড 

ফলিক এসিড একটি প্রজনক্ষম উপাদান। এটি প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার ক্ষেত্রে দারুণ সহায়তা করতে পারে। গর্ভধারণের চেষ্টা করার আগে কয়েক মাসের জন্য ৪০০ এমসিজি পরিমাণে ফোলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট গ্রহণ করা দরকারl। ফলিক এসিড গর্ভধারণের পাশাপাশি অটিজমের মতো ত্রুটিগুলি থেকে রক্ষা করে অনাগত শিশুর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা প্রদান করে।

You may also like

Leave a Comment