শিশুর বয়স অনুযায়ী ওজন বোঝার উপায়, দেখে নিন সম্পূর্ণ চার্ট

by Dr. Baby Akter
শিশুর-বয়স-অনুযায়ী-ওজনের সম্পূর্ণ-চার্ট

স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, অস্বাস্থ্যকর খাবার, পর্যাপ্ত ক্যালরির অভাব, পুষ্টির চাহিদা বা পুষ্টি শোষণের অভাবে শিশুর ওজন কম হতে পারে।

সন্তানের ওজন কম বা বেশি হওয়ার কারণ

শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করতে তার ওজন সম্পর্ক সচেতন হওয়া প্রয়োজন। অস্বাস্থ্যকর খাবার,পর্যাপ্ত ক্যালরির অভাব, স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, পুষ্টির চাহিদা বা পুষ্টি শোষণের অভাবে শিশুর ওজন কম হতে পারে। উচ্চতা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া সর্বজন স্বীকৃত গ্রোথ চার্টের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে। এতে বয়স অনুযায়ী ওজন, উচ্চতা, মাথার পরিধি গ্রাফের সাহায্যে বানানো থাকে। ছেলে ও মেয়ে শিশুর জন্য আলাদা চার্ট আছে, যা দিয়ে সহজেই শিশুর বৃদ্ধি মাপা যায়।

সন্তানের ওজন কম বা বেশি হওয়ার কারণ সমূহ :

অভিভাবকের কারণে: শিশুর কম ওজন নিয়ে জন্মানোর পেছনে অনেকক্ষেত্রে বাবা মায়ের বিশেষত মায়ের স্বাস্থ্য ভূমিকা রাখে। মা সুস্থ না থাকলে শিশু অপরিপক্ক বা কম ওজন নিয়ে জন্মায়। 

অপুষ্টি: খেতে না পারা, দীর্ঘদিন ডায়রিয়া, বমি, পেট ফোলা, দীর্ঘমেয়াদী ঠাণ্ডা, শ্বাসকষ্ট, থাইরয়েড বা আড্রিনাল গ্রন্থি সম্পর্কিত হরমোনের সমস্যা, ইত্যাদির কারণে  শিশু দেখতে অনেক চিকন হয়। আর সুস্থ শিশুর তুলনায় দেখতে মলিন ও কম প্রাণচঞ্চল লাগে। স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, অস্বাস্থ্যকর খাবার, পর্যাপ্ত ক্যালরির অভাব, পুষ্টির চাহিদা বা পুষ্টি শোষণের অভাবে শিশুর ওজন কম হতে পারে।

বংশগতি: শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি বংশগতির অনেকটা ওপর নির্ভর করে। অনেক ক্ষেত্রে শিশুর কোনো সঠিক কোন  কারণ ছাড়াই ওজন কম হতে পারে। অপ্রাপ্ত বয়সে জন্মানো বা কম ওজন নিয়ে জন্মে থাকে তাহলে তার বৃদ্ধি সঠিক মূল্যায়ণ ও সুস্থ নিশ্চিত করতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। 

যেভাবে খেয়াল রাখতে হবে: শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধু বুকের দুধই যথেষ্ট। ৬ মাস বয়স পূর্ণ হলে শিশুকে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার দিতে হবে। সাধারণভাবে প্রতি মাসে নিয়মিতভাবে শিশুর ওজন বাড়লে বুঝতে হবে শিশুর শরীর ঠিকমতো বাড়ছে। ৬ মাসের কম বয়সের শিশুর ওজন ঠিকমতো না বাড়লে তাকে আরও ঘন ঘন বুকের দুধ খাওয়ানো প্রয়োজন। যদি পরপর ২ মাস শিশুর ওজন না বাড়ে, তবে বুঝতে হবে তার কোনো সমস্য আছে। জন্মের পর থেকে ২ বা ৩ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে শিশুর ওজন নিতে হবে। অসুখ–বিসুখ, কম বা অনুপযুক্ত খাবার অথবা প্রয়োজনীয় সেবাযত্নের অভাবে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হতে পারে।  শিশুকে বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ানো উচিত। নরম তরিতরকারি, ছোট মাছ, ডিম, ডাল, তেল, চিনি বা গুড় মেশাতে হবে এবং মৌসুমি ফল, রুটি, মোয়া, নাড়ু, বিস্কুট, বাদাম, কলা অথবা হাতের কাছে যেসব পুষ্টিকর নিরাপদ খাবার পাওয়া যায়, সেগুলো খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে দিতে হবে। সারা দিনে ৫ থেকে ৬ বার। পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি সব টিকা দেওয়া জরুরি। পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করার পরও যদি অবস্থার পরিবর্তন না হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Leave a Comment