গর্ভবতী মায়ের করনীয় জরুরী কিছু বিষয়

by Dr. Baby Akter
গর্ভবতী মায়ের করনীয়

কনসিভ হয়েছেন? প্রেগন্যান্সি পজিটিভ? অভিনন্দন!! মা হওয়া রোমাঞ্চকর এই অপ্রতিরোধ্য সময়ে একটি বিশেষ নির্দেশিকা প্রয়োজন যা আপনার  প্রত্যাশিত গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করবে। গর্ভাবস্থার প্রথম ১৩ সপ্তাহ সময়ে আপনার অনেক বেশী সচেতন এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ তখন আপনার শরীর যেমন ক্রমশঃ বাড়তে থাকবে এবং পরিবর্তিত হবে একই ভাবে আপনার সন্তানও কিন্তু বাড়ছে। তাই আনন্দময় এই দিনগুলোতে অবশ্যই সঠিক স্বাস্থ্য নির্দেশিকা জানা আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরী। গর্ভাবস্থার প্রথম দিকের সপ্তাহগুলোতে হরমোনের পরিবর্তনের ফলে কিছু লক্ষণ অনুভব করতে পারেন যা আপনার শরীরকে প্রভাবিত করে।

অভিনন্দন- আপনি ‘মা’ হচ্ছেন !!  এই রোমাঞ্চকর গর্ভাবস্থার  প্রথম ১৩ সপ্তাহ সময়ে আপনার একটি বিশেষ নির্দেশিকা প্রয়োজন , যা আপনার  প্রত্যাশিত গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করবে।

 গর্ভাবস্থার প্রথম দিকের লক্ষণগুলো নিম্নরূপ:

  • বমি-বমি ভাব বা বমি (প্রভাতকালীন অসুস্থতা)
  • মাথাব্যথা করা
  • কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া
  • চরম ক্লান্তি বোধ হওয়া
  • গর্ভাবস্থার প্রথম দিকের সপ্তাহগুলোতে হরমোনের পরিবর্তনের ফলে কিছু লক্ষণ 
  • বুকজ্বালা করা
  • ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
  • স্তন নরম হয়ে যাওয়া
  • পায়ে খিল ধরা
  • নির্দিষ্ট কিছু খাবারের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হওয়া
  • পিঠের নিচের অংশ এবং শ্রোণীতে ব্যথা হওয়া
  • মেজাজে চরম পরিবর্তন হওয়া

কনসিভ হওয়ার সাথে সাথে যা করবেন

স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সাথে যোগাযোগ করুন

  • একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকুন  এবং ওজন, পালস, রক্তচাপ, ওজন বাড়ছে কি না,তা নিয়মিত চেকআপ  করুন।
  • গর্ভাবস্থার প্রথম ১২ সপ্তাহের মধ্যে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে কমপক্ষে একবার দেখা করার জন্য সময় নির্ধারণ করা উচিত। আপনার নিজ এলাকার   স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সাথে যোগাযোগ করুন।  স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর দেয়া পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা মেনে চলুন।

বমি ভাব ও মাথা ঘোরা

অন্তঃসত্ত্বা হবার কারনে শরীরে বেশ কিছু হরমোন পরিবর্তন ঘটে। যার ফলে বমি ভাব, মাথা ঘোরা, খেতে না পারা, শরীর খারাপ ভাব হতে পারে। বমি ভাব বা বমির ক্ষেত্রে  কেমোমিল, আদা, ভিটামিন বি৬ এবং/বা আকুপাংচার করার চেষ্টা করুন। বেশি বমি হলে সকালে উঠে লেবু পানি খেতে পারেন। আর মাথা বেশি ঘোরালে কিছুক্ষণ শুয়ে বিশ্রাম নিন। 

কোষ্ঠকাঠিন্যে

বেশির ভাগ মায়ের এসময়ে বুক জ্বালা করা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যও হয়ে থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্যে থেকে স্বস্তি পেতে গমের তুষ বা অন্যান্য ফাইবার জাতীয় সম্পূরক খাদ্যের ব্যবহার করা যেতে পার। আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর পরামর্শ অনুসারে খাদ্যাভাস গড়ে তুলুন এবং চিকিৎসা নিন। 

পায়ে খিল ধরা

পায়ে খিল ধরার ক্ষেত্রে ম্যাগনেসিয়াম বা ক্যালসিয়াম নিয়ে দেখতে পারেন। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে আপনার এবং আপনার সন্তানের ক্রমবর্ধমান শরীরের পুষ্টির বিষয়টি নিশ্চিত করুন।

স্তনে ব্যথা

গর্ভকালীন সময়ের ধীরে ধীরে হরমোন ঘটিত পরিবর্তনের কারনে  স্তনের আকারে পরিবর্তন হওয়া,স্তনে ব্যথা  হওয়া ও স্তন নরম  হওয়া এধরণের সমস্যা গুলো লাগতে পারে। জেনে রাখবেন এটি স্বাভাবিক, এই পরিবর্তন আপনার সন্তানের জন্য জরুরি।

গর্ভবতী মায়ের করনীয় জরুরী বিষয় সমুহ

যেহেতু প্রতিটি নারীর গর্ভাবস্থার অভিজ্ঞতা  আলাদা ও  ভিন্ন, তাই  যে উপসর্গগুলো দেখা দিলে আপনাকে অবশ্যই স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সাথে কথা বলতে হবে:

  • যোনিপথে রক্ত বের হওয়া
  • ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের উপরে জ্বর হলে
  • মারাত্মক খিল ধরা
  • দুর্গন্ধযুক্ত যোনি স্রাব
  • প্রস্রাবে যন্ত্রণা
  • মারাত্মক বমি-বমি ভাব

You may also like

Leave a Comment