ঘরোয়া উপায়ে ঘুমের সমস্যা দূর করুন

by Dr. Baby Akter
ঘুমের সমস্যার ঘরোয়া সমাধান

স্বাভাবিক প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। একজন মানুষের সুস্থ থাকার অন্যতম নিয়ামক হলো ঘুম। দিনে ৬ ঘণ্টার কম ঘুমালে তা স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে। বয়সভেদে বিশ্বের প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষই নিদ্রাহীনতা বা ইনসমনিয়া সমস্যায় ভুগছেন। অনেকে ঘুমের সমস্যা দূর করতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে থাকেন। অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন মানুষকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করতে পারে। অনিদ্রা দূর করার কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে আমরা ওষুধ সেবন না করে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারি। 

দীর্ঘমেয়াদি অনিদ্রা মানবদেহে বিভিন্ন গুরুতর জটিলতার জন্য দায়ী। ঘুমের ধরন ও তীব্রতা অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এবং ক্ষেত্রবিশেষে কাউন্সেলিং এর ব্যবস্থা গ্রহন করুন। 

 ঘুমের সমস্যা দূর করার কয়েকটি ঘরোয়া উপায়

  • ঘুমুতে যাওয়ার ঘন্টা পূর্বে গ্লাস গরম দুধের সাথেচা চামচ দারুচিনির গুড়া মিশিয়ে খেতে পারেন একটা গভীর ঘুমের জন্য। দুধের ক্যালসিয়াম অনিদ্রা দূর করতে সহায়ক। 
  • গ্রাম পুদিনা ২০০ গ্রাম পানিতে ২ মিনিট ফুটিয়ে নিন।  কুসুম গরম অবস্থায় ঐ পানিতে চামচ মধু মিশিয়ে ঘুমানোর আগে পান করলে গভীর ঘুম আসে।  
  • মিষ্টি আপেলের মোরব্বা করে ঘুমানোর আগে খেয়ে সাথে ২৫০ গরম দুধ খেলে ভালো ঘুম আসে। এতে মন ও মস্তিষ্কের দুর্বলতা দূর হয়। এভাবে ১৫-২০ দিন খেতে হবে।  
  • ঘুম আসতে দেরি হলে হালকা গরম পানিতে পা ভালো করে ধুয়ে নিলে ঘুম আসতে সাহায্য করে। 
  • তরমুজের বীজের খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের নরম অংশ বের করে তাতে সাদা খসখস আলাদা আলাদা করে পিষে সমমাত্রায় মিশিয়ে নিন। ৩ গ্রাম পরিমান চুর্ণ  বা মিশ্রণ সকাল-বিকাল খেলে রাতে ভালো ঘুম হয়। এতে মাথা ব্যথাও সারে। এটি ১-৩ সপ্তাহ খেতে হবে। 
  • চা চামচ জিরার গুড়া টা পাকা কলার সাথে চটকিয়ে খেতে পারেন প্রতিদিন ঘুমানোর ঘন্টা পূর্বে বিশেষ করে অজীর্ণ থেকে সৃষ্ট অনিদ্রা দূরীকরণে বেশ কার্যকর।
  • মেথি গাছের পাতার ২ চামচ রসের সাথে চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন ভাল নিদ্রার জন্য।
  • নিয়মিত প্রাণায়াম করুন। প্রাণায়াম হলো শ্বাসের ব্যায়াম। স্ট্রেস লেভেল কমে। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটার শঙ্কা কমে। এতে ঘুমের সময়ই ঘুম আসে।
  • ঘুমের আগে মুঠোফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার, টিভি দেখা, গেমস খেলা পরিহার করুন।
  • দৈনিক একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এমনকি ছুটির দিনেও।
  • ব্যক্তিগত জীবনে কলহ কিংবা পারিবারিক, সামাজিক বা চাকরিক্ষেত্রে কোনো বিষয় নিয়ে টেনশন অথবা বিচলিত থাকা থেকে বিরত থাকুন। 

You may also like

Leave a Comment