জেনে নিন পালংশাকের কিছু অসাধারণ গুণ ও উপকারিতা

by Dr. Baby Akter
পালংশাকের গুনাগুন ও উপকারিতা

সবুজ শাক-সবজির মধ্যে এক অতি পরিচিত নাম হলো পালংশাক। এর অধিক পুষ্টিগুণের কারণে সুদীর্ঘকাল ধরে পনির দিয়ে, আলু দিয়ে, মাছ দিয়ে, মাংস দিয়ে কিংবা এমনি খেয়ে আসছে।  প্রায় সারা বছর পাওয়া গেলেও শীতে পালংশাক বাজারে বেশী পাওয়া যায় এবং দামেও সাশ্রয়ী। পালংশাকের মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা। তাই নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন এই পুষ্টিকর পালংশাক।

সুদীর্ঘকাল ধরে কিছু আলাদা পুষ্টিগুণ ও উপকারিতার কারণে মানুষের খাদ্য তালিকায় অধিক জনপ্রিয় পালংশাক, আছে রোগ প্রতিরোধের অসাধারণ ক্ষমতা।

পালংশাকের গুনাগুন ও উপকারিতা

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি 

পালংশাকে জেক্সানথিন, লুটিন ও ক্লোরোফিল উপাদান থাকার কারণে মানুষের দৃষ্টিশক্তি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।

হাড়ের গঠন মজবুত করে 

পালংশাকে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। পালংশাক ভিটামিন কে–এর বড় উৎস। এসবই হাড়ের গঠন মজবুত করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়। এই ভিটামিন অস্টিওক্যালক নামের একটি প্রোটিন উৎপাদন করে থাকে। অস্টিওক্যালক হাড়ে ক্যালসিয়ামকে স্থিতিশীল রাখে। 

ক্যান্সার প্রতিরোধে

পালংশাকে ১৩ ধরনের ফাভোনয়েডস থাকার কারণে এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই কার্যকর।

ভিটামিন সি–এর উৎস 

পালংশাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকার কারণে এটিকে ভিটামিন সি–এর বড় উৎস বলা হয়। আমাদের শরীরে ভিটামিন সি এর প্রয়োজনীতা অত্যধিক। ভিটামিন সি মানুষের চোখের রোগ এবং কপালের বলিরেখা দূর করতে পারে, প্রসবপূর্ব সময়ে মায়েদের স্বাস্থ্যের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পালংশাকে লুটিন থাকে যা ধমনির গা মোটা হওয়া ঠেকিয়ে মানুষের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া এটি  কার্ডিওভাসকুলার রোগ দূর করতে সক্ষম। 

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

পালংশাক পেট পরিষ্কার রাখতে অপরিহার্য। পালংশাকে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ এবং বিটা কেরোটিন থাকায় তা মানুষের কোলনের কোষগুলোকে রক্ষা করে। পালং পাতার রস খেলে মেদ বৃদ্ধি কমে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।  

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে

পালংশাকে থাকা জেক্সানথিন, লুটিন ও ক্লোরোফিল মানুষের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, এবং এতে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলস থাকায় এটি মেয়েদের মাসিকজনিত সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস রোগে 

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য পালংশাক খুব উপকারী। এতে রয়েছে, ম্যাগনেশিয়াম তাই পালংশাক খেলে শরীরের শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে। ফলে তরতাজা ও সতেজ থাকা যায়। 

কিডনিতে পাথর হলে 

যাদের কিডনিতে পাথর আছে তারা নিয়মিত পালং পাতার রস খেলে কিডনির পাথর গুঁড়ো হয়ে প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যাবে। তাছাড়া এই শাক দেহ ঠাণ্ডা ও স্নিগ্ধ রাখে ।

বাতের ব্যথা

পালংশাক মাইগ্রেন, মাথাব্যথা, অস্টিওপোরোসিস ও বাতের ব্যথা দূর করতে প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়

পালংশাকে প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন ডি, আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম এটি স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই উপকারী। তাছাড়া পালংশাক দাঁত ও হাড়ের ক্ষয়রোধে, রক্তস্বল্পতা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

You may also like

Leave a Comment