ক্ষতিকর ১২টি বদভ্যাসে সতর্ক হোন আজ থেকে

by Dr. Baby Akter
নিজের-ক্ষতিকর-১২-বদভ্যাসে-সতর্ক-হোন-আজ-থেকে

ঘুম থেকে উঠেই ফোন চেক করা: দিনের সবচেয়ে সুন্দর আর ইতিবাচক সময় সকাল। সকালে উঠেই ফোন হাতে তুলবেন না। এই ভুলটা ভুলেও করবেন না। এতে আপনি দিনের শুরুতেই ভরাক্রান্ত হয়ে যেতে পারেন। যা আপনার সারা দিনের সুন্দর পরিকল্পনাকে নষ্ট করে দিতে পারে।  

ফোন স্ক্রলিং করা: মনে করুন, রাত ১০টায় ঘুমাতে গেলেন। চিন্তা করলেন, ফেসবুকটা একটু ঘুরে আসি। একটু চেক করে বের হয়ে যাবো । তারপর একসময় আপনি ঘড়ির দিকে তাকালেন, ১টা বাজতে ১০ মিনিট বাকি। দেরী করে ঘুমানোর কারণে আপনার সকালের গুরুত্বপূর্ণ সিডিউল মিস হয়ে যেতে পারে। 

দেরি করা: সকাল ১০টায় ঘুম থেকে ওঠা, দেরি করে ঘুমাতে যাওয়া, অফিসে দেরি, ভাইভা দিতে গিয়েও দেরি, বাচ্চার জন্মদিনের পার্টিতে দেরি – এভাবেই আপনি ক্রমেই জীবন থেকে ছিটকে পড়েন এবং পিছিয়ে পড়ছেন। 

মানুষকে বিচার করা: কারো সাথে পরিচয় হওয়া মাত্র তাকে নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করা খুবই খারাপ অভ্যাস। আপনি যখন জাজমেন্টের শিকার হন, তখন কেমন লাগে? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আমাদেরকে আরও বেশি করে এই বাজে অভ্যাসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এটি আমরা না নিজের অজান্তে প্রায় করে থাকি। 

অজুহাতের সদ্ব্যবহার: আমরা সাধারণত নিজের দোষ বা বদ অভ্যাসের কথা স্বীকার না করে অভিযোগ আর অজুহাত দিয়েই চলতে থাকি। আপনি যদি অভিযোগ আর অজুহাত দিয়েই চলতে থাকেন, তাহলে আপনি পরিণত ব্যক্তিত্ব নন। জীবনযুদ্ধে পিছিয়ে পড়াদের সঙ্গে যোগ দেওয়া ছাড়া আপনার গতি নেই।

অতিরিক্ত লবন ও চিনি খাওয়া: খাবারের সাথে অতিরিক্ত লবন বা পরিশোধিত চিনি খাওয়া বাদ দিন। বাদ দিতে না পারলে কমিয়ে ফেলুন। শারীরিকভাবে ভালো থাকবেন।

জাঙ্ক ফুড খাওয়া: জাঙ্ক ফুডে যে তেল ব্যবহার করা হয়, সেটা অনেক সময় স্বাস্থ্যকর নয়। ক্যালরির পরিমাণও অনেক বেশি। চিনি, লবণ, তেল -যে তিনটি উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তার সবই এখানে বেশি থাকে। এগুলো বন্ধুদের সাথে আড্ডার ছলে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। 

একটু পরে করছি: এই একটু পরে করছি বলে যে কাজগুলো আপনি ফেলে রাখেন, সেগুলোর কতটি আপনি পরে করেন? ভেবে দেখেছেন ?

সবকিছুতেই ‘হ্যাঁ’ বলা: কোন বিচার বিবেচনা ছাড়াই আপনি কি সবকিছুতেই হ্যাঁ বলে ফেলেন। না বলতে শিখুন। যেটা পারবেন না তা কাঁধে নেয়ার দরকার নেই। নইলে আপনি বিপদে পড়বেন। অথবা কে জানে, ইতিমধ্যে বিপদে পড়েও হয়তো বা আপনার শিক্ষা হয়নি।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা: আরেক শ্রেণির মানুষ আছেন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা যাঁদের স্বভাব। জীবনে ঘটেনি, এমন সব বিষয় চিন্তা করে তাঁরা দিনের একটা বড় অংশ তো নষ্ট করেনই, সেই সঙ্গে নষ্ট করেন নিজের মানসিক আর শারীরিক স্বাস্থ্য ও সৃজনশীলতা।

খারাপটাই ধারণা করা: ইতিবাচকতা ধরে রাখুন। মনে করুন, আপনার কোনো একটা ক্লায়েন্টের মিটিংয়ে আসতে দেরি হচ্ছে। ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। আপনি কেন ধরে নেবেন, তিনি আপনাকে উপেক্ষা করছেন? হয়তো তাঁর কোনো কারণে আসতে দেরি হচ্ছে, তাড়াহুড়োয় খেয়ালই করেননি যে ফোনটা সাইলেন্ট। এটা হতেই পারে তাই  নিজ থেকে আগ বুঝে নেয়া বন্ধ করুন। 

Leave a Comment