খাওয়া দাওয়ায় নিয়মিত শাক-সবজি আমাদের সুস্থতায় অনেক গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখে। বিশেষ করে সবুজ শাক-সবজি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। সবুজ শাক-সবজিতে রয়েছে ভিটামিন, লবণ, আঁশ। আঁশযুক্ত শাক-সবজি পেট পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে।
সঠিক নিয়ম মেনে নিয়মিত সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে কখনোই অতিরিক্ত ভিটামিন পিল খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সঠিক নিয়ম না মেনে শাক-সবজি রান্না করা হয়ে থাকে। এতে করে খাদ্যের পুষ্টিমান অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। আর এভাবে রান্না করা সবজির খাদ্যমান নষ্ট হয়ে গেলে তা থেকে শরীর যথাযথ পুষ্টি পায় না। এতে করে অর্থ, সময় আর শ্রমের অনেকটা অংশ যেমন নষ্ট হয় তেমনি শরীরও পুষ্টি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। সঠিক নিয়ম মেনে শাক-সবজি খাওয়া হলে তা শরীরকে সুস্থ রাখতে অনেক বেশী ভুমিকা পালন করে। আসুন আজ জেনে নেওয়া যাক কি নিয়মে শাক-সবজি খেলে তার গুণাগুণ অক্ষুন্ন থাকবে।
- তরকারির খোসা ও খোসার নীচে থাকে দেহের জন্য উপকারী মুল্যবান ভিটামিন ও খনিজ। এজন্য খোসাসহ সবজি রান্না করে খাওয়া উচিত।
- সবজি কুটার আগে পুরোটাই ভালভাবে পানিতে ধুঁয়ে নিন। কখনোই সবজি কুটার পরে তা ধুতে যাবেন না।
- কুটে নেওয়া সবজি কখনোই পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন না।
- খুব বেশি কুচি কুচি করে বা পাতলা করে সবজি কাটা ঠিক নয়।
- রান্না করবার অধিক সময় পূর্বে তরকারি কেটে রাখা ভাল নয়।
- নিয়মিত বেশি পরিমাণ কাঁচা সবজির তৈরি স্যালাড খাবেন। পাতা জাতীয় কোন সবজি এবং সাথে কয়েকরকম সবজির মিশ্রণে তৈরী স্যলাড থেকে ভাল পুষ্টিমান পাওয়া যায়।
- ভাতের মাড় কখনোই ফেলে দেওয়া ঠিক নয়। ভাতের মাড়ে প্রচুর ভিটামিন বি-১ থাকে।
- ভাত, মাছ অথবা মাংস, ডাল, শাক-সবজি একসঙ্গে মিশিয়ে লেবু দিয়ে খেলে আয়রণ শোষণ ভাল হয়।
- প্রধান খাবার এর সাথে সাথে চা, কফি খাওয়া উচিত নয়।
- সকাল, দুপুর অথবা রাতের খাবারের পর পর দুধ খাওয়া ঠিক নয়, এতে ক্যালশিয়ামের শোষণ কমে যায়।
- শাক-সবজি রান্নার সময় অবশ্যই তেল দিয়ে রান্না করতে হবে, শাক-সবজিতে থাকা ভিটামিন তেলের সাথে সহজেই দ্রবীভুত হতে পারে।
- অধিক সময় ধরে শাক-সবজি রান্না করলে ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায়।