চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎপত্তি এবং ইতিহাস

by Dr. Baby Akter

মানব ইতিহাসের মত চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসও সুদীর্ঘ এবং পুরোনো। বলা যায় মানব জাতির বিকাশ এবং সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের সাথে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস অনেকটা একসূত্রে গাঁথা। দীর্ঘ চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎপত্তি, ইতিহাস এবং ক্রমবিকাশ সম্পর্কে জানতে হলে ফিরে যেতে হবে সুদূর প্রাচীন অতীতে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ

প্রাগৈতিহাসিক কাল

প্রাগৈতিহাসিক সময় থেকে মানুষ রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে উদ্ভিদ (Herbalism), খনিজ পদার্থ, পশুর দেহের বিভিন্ন অংশ ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করত। তাছাড়া আদিকালের মানুষ আত্মা বা দেবতাদের সাথে যোগাযোগ করতে এবং রোগীকে আরোগ্য করার জন্য তাদের অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা ব্যবহার করে মন্দ আত্মাদের অপসারণ করতে সক্ষম বলে বিশ্বাস করা হতো।

প্রাচীন কাল

প্রাচীন কালে চিকিৎসায় ব্যবহার হত বেবিলনিয়ান ঔষধ, মিশরীয় ঔষধ, ক্লাসিক্যাল চীনা ওষুধ, রোমান ঔষধ, প্রাচীন গ্রিক ঔষধ এবং আয়ুর্বেদিক ঔষধ। ভারতীয় উপমহাদেশে আয়ুর্বেদিক ঔষধ অধিক প্রচলিত ছিল।  

গ্রিক

গ্রিকের মহান চিকিৎসক হিপোক্রেটিসকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক বলা হয়ে থাকে। এবং গ্যালেন হলেন প্রাচীন গ্রেকো-লাতিন সংস্কৃতির আরেকজন বিখ্যাত চিকিৎসক। 

মিশর

মিশরের প্রথম পরিচিত চিকিৎসক ছিলেন ইমহোতেপ (৩য় সহস্রাব্দের বিসি)। ইতিহাসে পাওয়া যায়, প্রাচীনতম মিশরীয় চিকিৎসায় ২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে কাহুন গাইনোকোলজিক্যাল প্যাপিরাস নামে একটি পাঠ্যক্রম প্রচলিত ছিল যা গাইনোকোলজিক্যাল রোগ বিদ্যা ক্ষেত্রে ব্যবহার হতো।

১৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্যাপিরাস সার্জারির উপর প্রথম কাজ করেছিলেন মিশরীয় এডউইন স্মিথ আর Ebers Papyrus নামে মিশরের আরেকজন চিকিৎসক ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্যাপিরাস সার্জারির উপর দ্বিতীয়বার কাজ করেছিলেন। 

চীন

চীনের প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাস থেকে জানা যায়, চীনে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্রোঞ্জ যুগের নিদর্শন ছিল। অস্ত্রোপচারের জন্য সেখানে বিভিন্ন বীজ ব্যবহৃত হতো যা বনজঙ্গল থেকে সংগ্রহ করা হতো। Huangdi Neijing নামে একটি চীনা প্রাচীন চিকিৎসা পাঠ দ্বিতীয় খ্রিস্টপূর্বাব্দের শুরু এবং তৃতীয় শতাব্দীতে চীনের চিকিৎসা শাস্ত্রের জন্য মাইল ফলক ভূমিকা রেখে ছিল। 

ভারত

ভারতের শল্যচিকিৎসক Sushruta এর বর্ণনায়, ভারতে চিকিৎসার প্রাচীনতম রূপসহ অস্ত্রোপচারের জন্য শ্রীলংকার মিহিনটলে অবস্থিত উৎসর্গীকৃত হাসপাতালে রোগীদের সুষম চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রমাণ পাওয়া যায়।

গ্রীস

গ্রীসের পশ্চিমা চিকিৎসা শাস্ত্রের জনক হিসেবে খ্যাত গ্রীক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস প্রথম ঔষধের যুক্তিসঙ্গত পদ্ধতির ভিত্তি স্থাপন করেন এবং তিনি চিকিৎসকদের জন্য হিপোক্রেটিক ওথ বা হলফনামা চালু করেছিলেন যা এখন পর্যন্ত সফল ভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। তখন Acute, Chronic, Endemic and Epidemic নামকরণে রোগকে নির্ধারণ করা হতো আর “Exacerbation, Relapse, Resolution, Crisis, Paroxysm, Peak and Convalescence”  হিসাবেও শ্রেণীবিন্যাস করা  হতো। 

প্রাচীন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সার্জন ছিলেন বলে ধারণা করা হয় গ্রীক চিকিৎসক গ্যালেনকে। তিনি মস্তিষ্ক ও চক্ষু অস্ত্রোপচার সহ অনেক জটিল সার্জারী করেছিলেন।

পশ্চিমা রোমান

পশ্চিমা রোমান সাম্রাজ্যে ধীরে ধীরে পতন হতে শুরু করলে, মধ্যযুগীয় সূচনার সাথে সাথে পশ্চিম ইউরোপে ঔষধের গ্রীক ঐতিহ্য কমতে থাকে। তবে পূর্ব রোমান(বাইজানটাইন) সাম্রাজ্যে এই পদ্ধতিটি চালু ছিল। 

মধ্যযুগ

মধ্যযুগে চিকিৎসাক্ষেত্রে অন্যতম অবদান রেখেছেন মুসলিম বিজ্ঞানীরা। আবু আলী হোসাইন ইবনে সিনা মুসলিম বিজ্ঞানীদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত। মধ্যযুগের জ্ঞান-বিজ্ঞানে এবং চিকিৎসা শাস্ত্রে আবু আলী হোসাইন ইবনে সিনা এর অবদান অনস্বীকার্য।

চিকিৎসা শাস্ত্রের জন্য তিনি বিশ্বকোষ আল-কানুন ফিত-তীব লিখেছেন যেটি পরবর্তীতে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালযয়ে ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্তও মেডিক্যাল পাঠে অন্তৰ্ভুক্ত ছিল।  

ইবন সীনাকে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক হিসেবে সম্মান করা হয়ে থাকে। তিনি পশ্চিমে অ্যাভিসিনা নামে পরিচিত এবং আরবিতে জ্ঞানীকুল শিরোমণি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

৭৫০ খ্রিষ্টাব্দের পর হিপোক্রেটস, Galen এবং Sushruta আরবি অনুবাদিত অনুলিপি মুসলিম বিশ্বের হাতে ছিল। ফলে মুসলিম চিকিৎসকদের চিকিৎসা গবেষণা বেশ ফলপ্রসূ ও অগ্রগতি লাভ করেছিল। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ফারসি আভিসিনা বা ইবনে সিনা যিনি ইমহোটেপ ও হিপোক্রেটসের মত “মেডিসিনের জনক” হিসাবে আখ্যায়িত। এছাড়া আভেনজার, আভিরোস, ইবনে আল নাফিস এবং আবুলকাসিস ও তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

ইউরোপের, বেলডিসটাইনের আদেশটির সেখানে মঠগুলিতে হাসপাতাল ও রোগীর স্থাপনা নির্মাণে বেশ ভূমিকা রেখেছিল এবং সেসময়ে প্রতিষ্ঠা করা গির্জা ক্যাথেড্রাল স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চিকিৎসা বিদ্যা পাঠদান করানো হতো। গ্রিক ও আরব চিকিৎসকগণের চিকিৎসা শাস্ত্র অধ্যয়নেরর জন্য মধ্যযুগীয় ইউরোপের সালেনোতে Schola Medica Salernitana নামে একটি অন্যতম মেডিকেল স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে চৌদ্দ এবং পঞ্চদশ শতকের কালো মৃত্যু মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে ছিল। এবং সেসময় বিতর্ক করা হয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের তুলনায় পশ্চিম ইউরোপ রোগ মুক্তির ক্ষেত্রে অধিকতর কার্যকরী । 

প্রাক আধুনিক যুগে, শরীর বিদ্যা এবং চিকিৎসা বিদ্যার প্রাথমিক পরিসংখ্যান আবির্ভূত হয়েছিল ইউরোপে যার মধ্যে William Harvey এবং Gabriele Falloppio এর নাম অন্যতম।

আধুনিক যুগ

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে ঊনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দী হল একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। এই দুই শতকে অন্যান্য সব শাখার বিপ্লবাত্মক পরিবর্তনের সাথে সাথে চিকিৎসাবিজ্ঞানেও আবিষ্কারের নতুন দিগন্তের উম্মোচন হয়। বিংশ শতকের দুই দুটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার কারণে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়। বিভিন্ন চিকিৎসা কলাকৌশল শুধু যুদ্ধকালীন প্রয়োজনেই আবিষ্কার হয়। 

১৭৬১ সালের দিকে মানবদেহের চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে কিছুটা ভিন্নভাবে পশু চিকিৎসা ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল। বিশ্বের প্রথম ফ্রান্সের পশু চিকিৎসক ক্লড বুগ্রেল্যাট ফ্রান্সের লায়ন পশুচিকিৎসা স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এর পূর্বে মেডিক্যালের চিকিৎসকেরা মানুষসহ অন্যান্য সব প্রাণীর চিকিৎসা করতো।

পশ্চিমা ঐতিহ্য ভেষজের উপর ভিত্তি করে আধুনিক বৈজ্ঞানিক বায়োমেডিকাল (জৈবচিকিৎসা প্রকৌশল) গবেষণা শুরু হয়েছিল। আঠারো শতকে এডওয়ার্ড জেনারের Smallpox ভ্যাকসিন আবিষ্কার, ১৮৮৮ সলে রবার্ট কোচের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা রোগের সংক্রমণের আবিষ্কার এবং  ১৯০০ এর কাছাকাছি সময়ে এন্টিবায়োটিকের আবিষ্কারের মাধ্যমে মূলত আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সূচনা হয়। 

অষ্টাদশ শতাব্দীর পর পর আধুনিকতার যুগে এসে ইউরোপ বেশকিছু চিকিৎসা গবেষক চিকিৎসা বিজ্ঞানকে আরো আধুনিক রূপ দেন। তারমধ্যে রয়েছে ,জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার নাগরিক ডাক্তার রুডলফ বীরভো, কনরাড রন্টজেন, উইলহেল্ম, কার্ল ল্যান্ডস্টেইনটার, অটো লোইই উনাদের অবদান অন্যতম। এবং যুক্তরাজ্যের  নাগরিক আলেকজান্ডার ফ্লেমিং, ফ্রান্সিস ক্রিক, জোসেফ লিস্টার, ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্প্যানিশ চিকিৎসক সান্তিয়াগো র্যামন ও কাজালকে আধুনিক স্নায়ুবিজ্ঞানের জনক বলে আখ্যায়িত করা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে আরো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল-নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে মরিস উইলকিন্স,  ফ্রাঙ্ক ম্যাকফার্লেন বার্নেট, হাওয়ার্ড ফ্লোরী। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে উইলিয়াম উইলিয়ামস কিন, উইলিয়াম কলি, ইতালি (সালভাদর লুরিয়া) থেকে জেমস ডি. ওয়াটসন, জাপানের নাগরিক কিটাসাটো শিবাশাবুরো ও ফ্রান্স থেকে জিন মার্টিন চারকোট, পল ব্রোকা, ক্লাউড বার্নার্ড, রাশিয়ান নিকোলাই করতোকভ, স্যার উইলিয়াম ওসলার এবং হার্ভি কুশিং প্রমুখ চিকিৎসা গবেষক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। 

ধীরে ধীরে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবন যাত্রার মান বাড়তে থাকে ফলে চিকিৎসা ও মেডিসিনের প্রয়োজনীতা ও নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ প্রান্তের দিকে শুধু উদ্ভিদ ও পশুজাত দ্রব্য বা উপাদান মেডিসিন হিসেবে ব্যবহৃত হয় নি, সেই সাথে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশ এবং তরলও ব্যবহার করা হয়েছিল।

পরবর্তীতে হারবালিজম (Herbalism) থেকে Pharmacology (ফারমাকোলজি) বিকশিত হয়েছে এবং এফ্রেডিন, এট্রোপাইন, ওয়ারফারিন, ডাইগক্সিন, ট্যাকোলোল, ভিনকা অ্যালকোলোড, হাইস্কিন ইত্যাদি এই জাতীয় মেডিসিনগুলো তৈরি করা শুরু হয়, এখনো উদ্ভিদ থেকে থেকে তৈরি করা হয়। 

১৭৯৬ সালে ব্রিটিশ চিকিৎসক এডওয়ার্ড জেনার বসন্তের টিকা আবিষ্কারের মাধ্যমে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিশেষ বিপ্লব ঘটিয়েছিল , তাই জীবাণু গবেষক ইংরেজ এডওয়ার্ড জেনারকে প্রতিষেধকবিদ্যার জনক বিদ্যার জনক বলা হয়ে থাকে। ১৯৭৭ সালে জেনারের সেই টিকা আবিষ্কারের ফলে কালান্তক গুটিবসন্ত  পৃথিবী থেকে চিরতরে নির্মূল হয়ে যায়। 

১৮৮৫ সালে লুই পাস্তুর জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক সফল ভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগের টিকা আবিষ্কার হয়। বিষ্ময়কর এই টিকা আবিষ্কারের ফলে আরেকটি অতি ভয়ংকর ভাইরাসঘটিত রোগ মানুষের হাতে পরাভূত হয়। 

ইতিহাসের সেই ধারাবাহিকতায়, জোনাস সাল্কের ১৯৫৩ সালে পোলিও ভাইরাস, ১৯১৪ সালে হুপিং কাশি, ১৯২৬ সালে ডিফথেরিয়া, ১৯৩৮ সালে টিটেনাস, ১৯৪৪ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জা, এবং ১৯৪৮ মামসের নিরাপদ ও কার্যকর প্রতিষেধক আবিষ্কারের মাধ্যমে বিভীষিকাময় প্রাণঘাতী বিভিন্ন রোগ থেকে মানবজাতি রক্ষা পায়। 

প্রথম আন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করেন ১৯২৭ সালে লন্ডনের সেন্ট মেরি হাসপাতালে কর্মরত বিশিষ্ট অণুজীব বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ফ্লেমিং। আবিষ্কারের সেই ঘটনাবহুল দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় চিকিৎসা বিজ্ঞানের আজকের আধুনিক রূপ। 

বাংলাদেশের প্রচলিত বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি 

বাংলাদেশের জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি ও সরকার কর্তৃক স্বীকৃত চারটি চিকিৎসা পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যা হলো –

  • অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি (Allopathy)
  • হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি (Homeopathy)
  • আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতি (Ayurvedic)
  • ও ইউনানি চিকিৎসা পদ্ধতি (Unani)

অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যতীত অন্য তিনটি  চিকিৎসা পদ্ধতিকে বলা হয় বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি বা Alternative Medical Care (AMC)। শত বছরের পুরোনো আদি চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতি। ইউনানী এর উৎপত্তি গ্রিক থেকে, আয়ুর্বেদিক ভারত থেকে এবং জার্মানে উৎপত্তি হয় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি। ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা মূলত ভেষজ, খনিজ ও প্রাণীজ উৎস থেকে তৈরী। 

অল্টারনেটিভ চিকিৎসা বা বিকল্প চিকিৎসায় আরো রয়েছে –

  • আকু প্রেসার  (Acupressure)
  • কাপিং থেরাপি (Cupping Therapy)
  • আকুপাংচার (Acupuncture)
  • যোগ ব্যায়াম (Yoga exercises)
  • রেজিমেন্টাল থেরাপি (Regimental therapy)
  • লিচ থেরাপি (Leech Therapy)
  • ঔষধি খাদ্য (Medicinal food)

ও লাইফ স্টাইল পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কতৃক স্বীকৃতি দেশ ও স্থানভেদে অনেক নানা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 

Leave a Comment