কৃমি হচ্ছে একরকমের পরজীবী প্রাণী, যা ড্রাকুনকুলিয়াসিস, বা গিনি ওয়ার্ম ডিজিজ (GWD) নামেও পরিচিত। পরজীবী হল এমন একটি প্রাণী যা মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর দেহে বাস করে সেখান থেকে খাবার গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। কোন সংক্রামিত প্রাণী যেমন, গরু, শূকর বা মাছ রান্না করা মাংস খাওয়া, দূষিত পানি, দূষিত মাটির ব্যবহার ও নোংরা পরিবেশে বসবাসের ফলে অন্ত্রে কৃমি সংক্রামিত হয়।
কৃমি শরীরে থাকলে প্রতিদিনই বেশ কিছু পরিমাণ রক্ত হারিয়ে যায়। পেটে কৃমির আধিক্যে অন্ত্রনালীর পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া অন্ত্র ফুটো করে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। তাই কৃমি প্রতিরোধে আমাদের যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে।
কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে পেটের কৃমি দূর করা যায়। যেমন –
- মৌরি চুর্ণ করে ১/৪ ভাগ মধু মিশিয়ে দিনে ২ বার করে খেতে দিন। এতে যে কোন কৃমি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
- জোয়ান ৩-৩ দানা পানের সাথে খান এর ফলে কৃমি মরে যাবে।
- কালো জিরা গুড়ো মিশিয়ে খেতে দিন, এতে যে কোন কৃমি নিমূর্ল হবে।
- কাঁচা রসুন অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। সকালে খালি পেটে ২/৩ কোয়া কাঁচা রসুন খান। এভাবে কিছুদিন দিন সকালে নিয়মিত দুই-তিনটি করে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেলে কৃমি মরে যায়। প্রায় ২০ ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ৬০ ধরনের ফাঙ্গাস মেরে ফেলতে পারে রসুন।
- অতিস ও ভায়বিড়ং এর সমভাগ ১২০-২৫০ গ্রাম মাত্রায় মায়ের দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়ালে শিশুদের পেটের কৃমি দূর হয়।
- ১২০-২৫০ মি.লি. গ্রাম বচ দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়ালে শিশুদের পেটের কৃমি নষ্ট হয়ে যায়।
- পাকা পেঁপের বীজ গুঁড়ো করে মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে দিন। এতে যেকোনো ধরনের কৃমি মির্মূল হয়। তাই ভালো ফল পেতে মধুর সাথে পাকা পেঁপেও খাওয়া যেতে পারে।
- কলা গাছের শেকড় শুকিয়ে চুর্ণ গুঁড়ো করে নিন। ২ মাশা পরিমান চুর্ণ গরম পানি সাথে খেতে দিন। এতে পেটের কৃমি বেরিয়ে যাবে এবং পরে কৃমি হওয়ার সম্ভবনা কমে যাবে।
- এক চা চামচ শসার বীজ গুঁড়ো করে কাঁচা হলুদের সাথে মিশিয়ে খেলে পেটে ফিতাকৃমি থাকলে তা মরে যায়।
এভাবে ঘরোয়া বা প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করেও কৃমি দূর না হলে চিকিৎসকের পরামর্শে পুরো পরিবার এক সাথে কৃমির ওষুধ সেবন করতে হবে ।